জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তোলা বিরল ছায়াপথের (গ্যালাক্সি) ছবি গতকাল মঙ্গলবার (২ আগস্ট) প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশীয় টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব স্পেস মহাজাগতিক ধূলিকণার মধ্য দিয়ে নতুন এবং বিরল এই কার্টহুইল গ্যালাক্সির ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে।
স্পেস টেলিস্কোপটির তোলা সর্বশেষ চিত্রটি কার্টহুইল গ্যালাক্সিকে দেখায়, ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের এই গ্যালাক্সিটি একটি বড় সর্পিল গ্যালাক্সি। এটি তৈরি হয়েছিল যখন একটি বড় স্পাইরাল গ্যালাক্সির সাথে ছোট একটি কার্টহুইল গ্যালাক্সির ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছিল।
যখন ছায়াপথগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তখন এগুলোর আকৃতি এবং গঠন পরিবর্তন করতে পারে। কার্টহুইল গ্যালাক্সি দেখতে অনেকটা গাড়ির চাকার মতো। এটি একটি রঙিন বলয় এবং উজ্জ্বল অভ্যন্তরীণ বলয়কে ঘিরে থাকে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে দেখা গেছে, উভয় গ্যালাক্সিই সংঘর্ষের কেন্দ্র থেকে দূরে সরে গেছে।
এসব বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণেই বিজ্ঞানীরা কার্টহুইলকে একটি রিং গ্যালাক্সি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন, যা সর্পিল গ্যালাক্সির তুলনায় অনেক সাধারণ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে বিশৃঙ্খল এই ছায়াপথের মধ্যে পৃথক নক্ষত্র এবং নক্ষত্র গঠনের পাশাপাশি এর কেন্দ্রের ব্ল্যাক হোল সম্পর্কেও নতুন তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
নতুন ছবিটি হাজার হাজার বছর ধরে গ্যালাক্সিটি কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে। ছায়াপথের বাইরের বলয়টি ৪৪০ মিলিয়ন বছর ধরে প্রসারিত হচ্ছে এবং এখানেই তারার গঠন এবং তারার মৃত্যু (সুপারনোভা বিস্ফোরণের মাধ্যমে) ঘটে। ওয়েব টেলিস্কোপটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ জুলাই কার্যক্রম শুরু করেছে। একই দিনে নাসা টেলিস্কোপটির তোলা প্রথম ছবিগুলো প্রকাশ করে এবং আগামী সপ্তাহে আরও ছবি প্রকাশ করবে মার্কিন এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।